সারাদেশের মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধের প্রস্তাব প্রসঙ্গে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভাপতি, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করার চেয়ে নিয়ন্ত্রণটা কীভাবে করা যায়, আমরা সে ব্যাপারে গুরুত্ব বেশি দিচ্ছি। জনবহুল এ দেশে এটি বহু বেকারের কর্মসংস্থান। এ বিষয়ে নীতিমালা করার কথা আমরা অলরেডি বলেছি, নীতিমালা হচ্ছে।

এখন থেকে ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে। আগামীকাল থেকে যারা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন তারা ঘরে বসেই তা করতে পারবেন।
ওবায়দুল কাদের, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং সাধারণ সম্পাদক,আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিআরটিএর সদর কার্যালয়ের জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৯তম সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে এ কথা বলেন। সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, মহাসড়কের যে পরিমাণ চাপ সে তুলনায় বিআরটিএ ও হাইওয়ে পুলিশের জনবল বাড়েনি।

আমরা চেষ্টায় আছি, জনবল বাড়াতে পারলে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখন থেকে ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে। আগামীকাল থেকে যারা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন তারা ঘরে বসেই তা করতে পারবেন।

বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ৪ হাজার ৮০ কোটি টাকার একটি লোনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সড়কে নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা একটি প্রকল্প দেখছি বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায়। এই প্রকল্পের ডিডিপিও প্রস্তুত। শিগগিরই একনেক সভায় যাবে। একনেকে আসলে তারপর আমরা ইমপ্লিমেন্টে যাব। কারণ, সড়ক নিরাপত্তা আমাদের খুবই প্রয়োজন।

সুনামগঞ্জে দলীয় সম্মেলনে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর সংবাদ পত্রপত্রিকায় দেখলাম। এটা মিথ্যা সংবাদ, এটা ভুল। এখন আপনারা খবর নিতে পারেন। কী কারণে লোকটার মৃত্যু হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী

ওবায়দুল কাদের বলেন, সুনামগঞ্জে দলীয় সম্মেলনে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর সংবাদ পত্রপত্রিকায় দেখলাম। এটা মিথ্যা সংবাদ, এটা ভুল। এখন আপনারা খবর নিতে পারেন। কী কারণে লোকটার মৃত্যু হয়েছে।

সংঘর্ষ চলাকালে নিহত ব্যক্তি সম্মেলনের ধারে কাছেও ছিলেন না দাবি করে কাদের বলেন, ‘তিনি বাড়িতে ছিলেন। বাড়ি থেকে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তিনি সেখানে মারা গেছেন। এটাকে এখন বলা হচ্ছে, আমাদের সম্মেলনে মারামারি হয়ে একজন মারা গেছেন। তিনি তো স্ট্রোকে মারা গেছেন। আপনারা খবর নিন।’